চ্যাট জিপিটি যদি একজন সিনিয়র সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারকে রিপ্লেইস করতে পারে

 


চ্যাট জিপিটি যদি একজন সিনিয়র সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারকে রিপ্লেইস করতে পারে, ব্যাপারটা আসলেই স্টার্টআপ সিনারিওকে ট্রান্সফর্ম করবে । 


আমি যে প্রতি মাসে কত মানুষের কাছ থেকে রিকুয়েস্ট পাই ডেভেলপার খুঁজে দেওয়ার জন্য - অনেকের কাছে সুন্দর সুন্দর বিজনেস আইডিয়া আছে কিন্তু এক্সিকিউট করতে পারছেন না ডেভেলপার না পাওয়ায় । অনেকের কাছে আবার ভালো ডেভেলপার ম্যানেজ করার ফান্ড থাকে না । 


এআই যদি সহজে এবং নাম মাত্র খরচে মানুষের মত করে সফটওয়্যার বানিয়ে দিতে পারে তাহলে প্রোটোটাইপ, এমভিপি রেডি করা কত সহজ হয়ে যাবে । আপনি নতুন নতুন আইডিয়া বের করবেন আর  সেগুলো খুব দ্রুত প্রটোটাইপ করে ফেলতে পারবেন । শুধু ডেভেলপমেন্ট না, মার্কেটিং এর কাজ ও করাতে পারবেন । 


এরপর আরেক লেভেল আগালে দেখা যাবে আপনার বিজনেস আইডিয়া নিয়েও টেনশন করা লাগতেছে না । চ্যাট জিপিটি আপনার এলাকার ডাটা কালেক্ট করে মার্কেট রিসার্চ করে ফুল প্রুফ বিজনেস আইডিয়া দাড় করিয়ে দিচ্ছে । 


আমার এখনো মনে হয় না চ্যাট জিপিটি ওই লেভেলে পৌঁছেছে, কিন্তু পৌঁছালেও মন্দ হবে না । পুরো ল্যান্ডস্কেপটা চেঞ্জ হয়ে যাবে । 


তবে এইভাবে মানুষের রিপ্লেসমেন্ট এআই দিয়ে শুরু হলে, এক সময় গিয়ে মানুষের আর কোন পারপোজ থাকবে কি? সব কাজ যদি এআই আর রোবট করে দেয় তখন আমাদের কি কোন কাজে লাগার মত স্কিল থাকবে আদৌ? আমাদের আদি পুরুষরা পাথর ঘষে, গাছের ডাল ঘষে আগুন জ্বালাতে পারতেন, আমরা কি পারি? আমাদের আগের জেনারেশন মুখে মুখে বড় বড় গুণ ভাগ করতেন, আমরা কি পারি? আমরাই এখন ছোট ছোট অংক কষতে ফোনের ক্যালকুলেটর বের করি, এআই যখন সব করে দিবে, তাহলে সেই জেনারেশন কি ফিজিক্স, ম্যাথ শেখার কোন মোটিভেশন পাবে? বছরের পর বছর কষ্ট করে কেউ ডাক্তারি পড়তে চাইবে? আমার খুব জানতে ইচ্ছা করে সেই সমাজ ব্যবস্থা কিভাবে চলবে ।

Post a Comment

Post a Comment (0)

Previous Post Next Post