বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীগণ বেগুন পরীক্ষা করে মাত্রাতিরিক্ত সীসা বা লেড পেলেন। তাঁরা বেগুন পরীক্ষা না করে যদি ঝিঙা পরীক্ষা করতেন, তাহলে হয়ত একই বা বেশি মাত্রায় হেভিমেটাল পেতেন। আলু, পটল, বরবটি, করল্লা, শাক, ফুলকপি, বাঁধাকপি যাই পরীক্ষা করুন না কেন, একই রেজাল্ট আসবে। কিছু কম বা বেশি। চাল, ডাল পরীক্ষা করেন, দেখুন তো কী আসে!! মাছ বাদ দেবেন কেন?
সবাই চুপ। কেউ পরীক্ষা করে না। সবাই জানে। সবার হাত পা কাঁপে। এক মাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চাররা ছাড়া।
আচ্ছা বেগুনে হেভিমেটাল পাওয়ার পর সরকার কী ভূমিকা গ্রহণ করেছে? ফসলে কিভাবে গেল হেভিমেটাল, কিভাবে গেল কীটনাশক রেসিডিউ, তার রুট কজ বা ট্রেসেবিলিটি বের করার কোন দৃশ্যমান কাজ কি হাতে নিয়েছে?
সব ফসল পরীক্ষা করার কি উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে? কোন প্রজেক্ট সেটা?
চাষের মাছ? মুরগি, গরু? মুরগির রেজাল্ট তো আমরা জানি।
খাদ্য আর পরিবেশে এভাবে ভয়াবহভাবে হেভিমেটাল ঢুকে যাবার পর আমাদের নড়াচড়া কতটুকু, কেউ প্রমাণ দিয়ে বলবেন কী?
কীটনাশকে হেভিমেটাল থাকলে সেই হেভিমেটাল মাটি, পানি, ফসল, মাছ, সব ধ্বংস করবে। এরপর তো আছে শিল্প আর ব্যাটারি দুষণ।
আমাদের কীটনাশকে মারাত্মক পরিমাণে হেভিমেটাল পাওয়ার পর তা নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি নীতিমালা তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছিল কৃষি মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরকে। ৪/৫ টি তাগিদপত্র দেয়া হয়েছিল। দেড় বছর ধরে তারা কোন সিদ্ধান্ত নেয়নি।
অনেক বড় বড় স্যার আছেন এই দেশে, আছেন অনেক বিজ্ঞজনেরা, যারা সবকিছু উড়িয়ে ফেলেন। কীটনাশকে হেভিমেটাল সংক্রান্ত এই সিদ্ধান্তটি একটু নিয়ে দেবেন জাতির কল্যাণে প্লিজ।
খাদ্য ভেজালের জন্যই এই দেশে একটা ম্যাসাকার নেমে আসবে, লিখে রাখুন আমার কথা। ক্যানসার, কিডনি বিকলসহ ভেজালের কারণে সব দুরারোগ্য ব্যাধি কোন দল মত আর রাজনীতি মানবে না। অপেক্ষা করুন সবাই।
*** কাউকে কষ্ট করে পোস্ট শেয়ার দেয়ার দরকার নেই।
Post a Comment