ইবাদাতের সময়টাতেও যদি আমরা মানবিক হতে না পারি তবে মানবিকতা শিখবো কবে?

 


জুম্মার নামাজে কিছু ভদ্রলোক পরিপাটি হয়ে জায়নামাজ হাতে নিয়ে মসজিদে ঢুকেন। এরপর জায়নামাজটা বিছিয়ে চুপচাপ বসে থাকেন। সবশেষে নামাজের জন্য যখন সবাই দাঁড়ায় তখন দুই পা দুইদিকে সর্বোচ্চ ছড়িয়ে এমনভাবে জায়নামাজের উপর দাঁড়ায় যেন তার জায়নামাজে অন্য কারও পা না পড়ে! 


অথচ কাজেকর্মে দেরী করে ফেলা কিছু লোক শেষমুহুর্তে মসজিদে এসে দাঁড়ানোর জায়গা না পেয়ে এদিক-ওদিক তাকায়। মাঝেমাঝে একটা কাগজ বা পলি বিছায়ে রাস্তায় দাঁড়ায়ে যায় যেন অন্তত সিজদার জন্য কপালটা পরিষ্কার কোনো জায়গায় ঠেকাতে পারে। 


আমি আশেপাশের সেই ভদ্রলোকদেরকে দেখি, কি বিশ্রীভাবে পা ছড়িয়ে নামাজে দাঁড়ায়! কি ভয়ংকরভাবে নিজের কেনা দুই ফুটের জায়নামাজের ভাগ থেকে আশেপাশের মানুষদেরকে বঞ্চিত করে! 


অথচ জামাআতে নামাজের  মূল শর্তই হলো কাঁধে কাঁধে দাঁড়ানো। কাঁধে কাঁধে দাঁড়িয়ে দুটো জায়নামাজে অনায়াসে তিনজন কিংবা বেশি চাপাচাপি করে দাঁড়ালে চারজন মানুষ নামাজ পড়তে পারে। 


দীর্ঘশ্বাস ফেলে ভাবি খোদার দেওয়া পৃথিবীতে আমরা কি পরিমাণে স্বার্থপর আর অহংকারী হলে নিজের জায়নামাজে আরেকজনের পা লাগতে দেই না!! ইবাদাতের জন্য যেখানে আমরা জায়গার ভাগ দিতে চাই না সেখানে বেহেশতের চিপায়-চুপায়ওতো আমাদের জায়গা হওয়া উচিত না! 


ইবাদাতের সময়টাতেও যদি আমরা মানবিক হতে না পারি তবে মানবিকতা শিখবো কবে?

লিখেছেন: Asif Mahmud 

Post a Comment

Post a Comment (0)

Previous Post Next Post