পৃথিবীতে বিষাক্ত-অবিষাক্ত, বিষধর, হিংস্র, নিরীহ প্রানীদের দেখা মিলে। তবে এদের মধ্যে বেশিভাগ প্রানীই স্পেসিফিক কোন ক্যাটাগরিতে পরে এবং ঐ বৈশিষ্ট্যের জন্যই মানুষের মধ্যে বেশী পরিচিত। গরিলা, বানর, শিম্পাঞ্জি এরা একই জাত কিংবা ক্যাটাগরির প্রানীদের মধ্যে পড়ে। সময়ের বিবর্তনের সাথে সাথে মানুষের উৎপত্তির সাথে শিম্পাঞ্জি কিংবা গরিলার মিল রয়েছে। ডারউইনের বিবর্তনবাদের মতবাদ অনুসারে এই বিষয়টি প্রমানিত এবং মানুষের উৎপত্তির ব্যখ্যা দেওয়া যায়।
গরিলাদের ট্রেইন করানো যায় এবং এদের অনেক কিছু শেখানো যায়। এদের ট্রেনিং এর জন্য বিশেষ ট্রেইনার আছে এবং এদের বেশীভাগ সার্কাসে দেখা যায়। বিভিন্ন মুভিতে এদের দেখা যায় সেগুলো সার্কাসের গরিলার শুটিং এর কাজে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু বর্তমানে বিভিন্ন কিছুর শুটিং এ ভি এফ এক্স প্রযুক্তির সাহায্যে সিনেমাতে প্লেস করে রাখছে। তবে গরিলা মানুষের চেয়ে ৬ গুন বেশি শক্তিশালী এবং যে কোন প্রানী সহজে এদের সাথে পারে না এবং এরা বিশালদেহী হওয়ায় এদের জায়গা বেশি লাগে। এরাও যথেষ্ট বেশি পরিমান খাবারও খেয়ে থাকে।
মানুষের সাথে মিলঃ
এদের ডি এন এ এর সাথে মানুষের ডি এন এ ৯৮.৪% মিল থাকে। এই মিল থাকার কারনে মানুষের সাথে এদের যথেষ্ট মিল আছে। মানুষের যেমন দুঃখ, কষ্ট, আনন্দ-বেদনা ইমোশন সব মানুষের সাথে মিল রয়েছে। মানুষের মতই এরা সামাজিক ভাবে থাকে এবং পরিবারের সাথেই থাকে। প্রাইমেট জাতীয় প্রানীদের মধ্যে গরিলা উল্লেখযোগ্য প্রানী। তবে বানরের লেজ থাকলেও এদের লেজ নাই। তবে বুদ্ধির কারনে এরাও শিম্পাঞ্জির মত উন্নত ধরনের প্রাইমেট প্রানী।
খাদ্যাভাসঃ
প্রাপ্ত বয়স্ক গরিলা ২৫ কেজি ( বা ৪০ পাউন্ড ) পর্যন্ত খাবার খেয়ে থাকে। এরা সকালে এবং বিকালে খাবার খেয়ে থাকে। সকালে খাবার খেয়ে ঘুমায় এবং তারপর তারা বিকালে ঘুম থেকে উঠে আবার খাবার খায়। এটিই তাদের এক মাত্র কাজ। মানুষের বাচ্চা জন্মদানের ক্ষেত্রে দশ মাস দশ দিন থাকলেও এদের বাচ্চা ৮.৫ মাসের মধ্যেই হয়ে যায়। স্বাভাবিক ভাবেই তারা একটি বাচ্চা নিয়ে থাকে তবে অনেক ক্ষেত্রে টুইন্স হয় যা রেয়ার কেস। যে কোন স্ত্রী প্রজাতির গরিলা তার জীবদ্দশায় সর্বোচ্চ ৩ বার বাচ্চা প্রসব করে থাকে।
Post a Comment