মশা সম্পর্কে অজানা মজার তথ্য যা আপনার অজানা

 

মশাকে পছন্দ করেন এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। তবে হ্যাঁ, এই বিরক্তিকর প্রানীটিরও মজার কিছু ব্যাপার আছে। একে নিয়ে আছে এমন কিছু তথ্য, যেগুলো শুনলে অবাক হবেন আপনিও। চলুন না, এক নজরে দেখে নেওয়া যাক!


খুনী মশা!


সাপকে কতটা ভয় পান? মশার চাইতে বেশি নিশ্চয়? মজার ব্যাপার হলো, পৃথিবীতে সবচাইতে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে মশার কারণে। মশা কেবল কামড়ায় না, একইসাথে নানারকম জীবাণু্, যেমন- জিকা, ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া ইত্যাদি বহন করে। ফলে, এর কামড়ে মানুষ মারাও যায় বেশি।


মশার জীবনকাল এত!


আমাদের অনেকেই ভাবেন যে, মশা কয়েকদিন বেঁচে থাকে। উঁহু! একদম নয়। কারও হাতে মৃত্যু না হলে, একটি পূর্ণবয়স্ক মশা বেঁচে থাকে ৫-৬ মাস!


রক্তকে ‘না’


আমরা অনেকেই জানি যে, পুরুষ মশারা মানুষের রক্তপান করে না। এই কাজটি করে নারী মশারা। মজার ব্যাপার হলো, রক্ত নারী মশাদের দরকার হয় সন্তান জন্মদানের জন্য। সন্তান জন্মের প্রক্রিয়া না চললে তখন নারী মশারাও আর রক্ত পান করে না।


মানুষ নয়, পাখিরাও শিকার


মশা কেবল মানুষকে কামড়ায় না। এছাড়া আরও অনেক প্রাণীর রক্তপান করে মশা। এটা নির্ভর করে তাদের প্রজাতির ওপরে। এই যেমন- কিউলিসেতা মেলানুরা প্রজাতির মশা পাখির রক্ত পান করে বেঁচে থাকে।


মশারা ধীরে ওড়ে


নিশ্চয় ভাবছেন, তাহলে আপনি কেন মশাকে ধরতে পারেন না বেশিরভাগ সময়! মশা মূলত, ঘণ্টায় এক থেকে দেড় মেইল ওড়ে। অন্যান্য প্রাণীদের চাইতে এই গতি অনেক কম।


মশার গুনগুনানি


মশার একঘেয়ে পোঁ পোঁ শব্দ নিশ্চয়ই শুনতে বিরক্তিকর মনে হয়! আসলে, মশা এটি ইচ্ছে করে করে না। এরা সেকেন্ডে ৩০০-৬০০ বার পাখা ঝাপ্টায়। আর এই কারণেই এমন অদ্ভূত শব্দ তৈরি হয়।


মশাদের ভালোবাসা


এই যে পাখা ঝাপ্টানোর শব্দ— নারী ও পুরুষ মশারা নিজেদের সঙ্গী খুঁজে নিতে এই শব্দ ব্যবহার করে। একে অন্যকে ভালোবাসলে তাদের পাখার শব্দ ও একইরকম হয়ে থাকে।


মশার ঘর


বেশিরভাগ মশা নিজেদের জন্মস্থানে কাছেই বাস করে। কিন্তু অনেক মশা জন্মস্থান নয়, বরং ভালো একটি বসবাসের স্থান খুঁজতে বেশি আগ্রহী হয়।


পানির ভূমিকা


মশা জন্ম নিতে খুব কম পানি দরকার হয়। এমনকি, বৃষ্টির ফোঁটা থেকেও মশা জন্ম নিতে পারে।


চিকিৎসায় মশার অবদান


মশার শারীরিক গঠন লক্ষ্য করেই চিকিৎসকেরা এমন সুই তৈরি করেছেন যাতে করে মানুষের ত্বকে অনেক বেশি ব্যথা না হয়। আর হ্যাঁ, এই পদ্ধতি কাজে লেগেছে ভালোভাবেই।


মশার কামড়ে চুলকানি


মশার কামড়ের অন্যতম বিরক্তিকর অংশ হচ্ছে চুলকানি। মশার লালা থেকেই আমাদের ত্বক চুলকায়। শুনলে অবাক হবেন যে, কিছু মানুষের মশার লালায় এই অ্যালার্জি নেই। তাই লালা ত্বকে পড়লেও তাদের কোনো সমস্যা হয় না।


আপনার মশা, আপনার সমস্যা


শুনতে অদ্ভূত হলেও, বাস্তবতা এটাই। মশারা সাধারণত ২-৩ মাইলের বেশি যেতে পারে না। তাই সে এই আওতার মধ্যেই ঘুরে বেড়ায়। আপনার বাড়ির আশেপাশে কোনো মশা থাকলে সেটা পুরটাই আপনার সমস্যা। কারণ, এটি কখনো আপনার চারপাশ ছেড়ে খুব বেশিদূর যাবে না।


মশা বিলুপ্ত হয় না কেন?


কারণ, মশা এমন একটি প্রাণী, যারা বেঁচে থাকে অন্যের রক্তেরওপরে, পানির ওপরে। পৃথিবী পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেলে তারপরেই হয়তো এই প্রাণীর রক্ত আর পানি থাকবে না। কিন্তু তার আগ পর্যন্ত মশা থাকবেই। তবে, স্বস্তির কথা হল যে, পৃথিবীতে প্রায় ৩,০০০ প্রজাতির মশা থাকলেও আমাদের কামড়ায় মাত্র ২০০ প্রজাতির মশা।


হতাশ হয়ে পড়লেন? তবে, হতাশ হলেও এটাই সত্যি। তাই, বরং নিজের চারপাশ পরিষ্কার রাখুন। এতে করে মশা জন্ম নেবে কম, আর আপনার ভোগান্তিও কমে আসবে অনেকটা।

Post a Comment

Post a Comment (0)

Previous Post Next Post