প্রানীদের মধ্যে বিভিন্ন ক্যাটাগরির প্রানী আছে; কিছু প্রানী নিরীহ প্রকৃতির এবং কিছু প্রানী হিংস্র প্রকৃতির। স্বাভাবিক ভাবেই এই দুই ক্যাটাগরি ছাড়াও আরও কয়েক ক্যাটাগরির প্রানী আছে। যাদের বৈশিষ্ট্যভেদের ভিন্ন ভিন্ন ক্ষেত্রে ভাগ করা যায়। বানর, শিম্পাঞ্জি, গরিলা, হাতি, ঘোড়া সহ আরও অনেক ধরনের প্রানী আছে। গৃহপালিত প্রানী এবং হিংস্র প্রানীদের মধ্যে অনেক কমন বৈশিষ্ট্য আছে। তবে কমন বৈশিষ্ট্যের চেয়ে আনকমন বৈশিষ্ট্যই বেশি। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন বিষয় হল গৃহপালিত প্রানী সহজে মানুষের উপর আক্রমন করে না। কিন্তু বন্য প্রানী আকস্মিক হামলা করে থাকে।
মরা সাধারনত বানরকে গাছে দেখতে অভ্যস্ত এবং এটাই মেনে থাকি যে বানর গাছেই বাস করে। কিন্তু কথাটি আংশিক সত্য। বানরদের মধ্যে দুই ধরনের প্রজাতির দেখা মিলে কোথায় বসবাস করে তার উপর ভিত্তি করে। এক ধরনের প্রজাতি হল বৃক্ষবাসী বানর এবং অপর প্রজাতি হল স্থলজ। এরা উভয়ই নকল করা প্রানীদের ক্যাটাগরিতে পড়ে। প্রজাতিভেদে এই বৈশিষ্ট্য কমন প্রকৃতির। তবে আমাদের দেশেই বৃক্ষবাসী বানরের দেখা পাওয়া যায় বেশি। চিড়িয়াখানায় গেলেও আমরা খাঁচার মধ্যে অবস্থিত বানরকে দেখতে পাই যারা লাফানো পছন্দ করে। এরা মানুষের মত নিজেদের পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখে। এই বিষয়টি এত গুরুত্বের সাথে বলার অর্থ হচ্ছে মানুষ যেমন নিজের শরীর এবং ত্বকের যত্ন করে এবং নিজেকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার চেষ্টা করে তেমনি এরাও নিজেদের সেভাবেই নিজেদের পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে।
নকল করা প্রানীর বৈশিষ্ট্যঃ
ইতোমধ্যে বিজ্ঞানীরা ২৬৪ টি প্রজাতির বানরের সন্ধান মিলেছে। এই সব বানর এশিয়া এবং আফ্রিকা অঞ্চলে দেখা মিলে সবচেয়ে বেশি পরিমান। বানরের একটি গুরুত্বপূর্ন বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এরা অনুকরন করতে পছন্দ করে। এই অনুকরন করা একবার দেখলে সে অভ্যাস সহজে ভুলে না।
বরং কিছু কার্জকলাপ তারা নিত্যদিনই পালন করে থাকে। মানুষের উদাসীনতার কারনে অনেক সময় আমরা শুকনা খাবার সাধারন ধুয়ে খাওয়া পছন্দ করি না। কিন্তু বানরের নিকট থেকে এই বিষয়টি শিক্ষনীয় আছে যে তারা যে কোন খাবার খাওয়ার পূর্বে ধুয়ে খাওয়া পছন্দ করে। সেজন্য মানুষের উচিত কোন খাবার খাওয়া কিংবা রান্না করার পূর্বে ধুয়ে নেওয়া দরকার।
উৎসুক মনোভাবঃ
বানরের মধ্যে কিউরোসিটি বিষয়টি অনেক সক্রিয় ভাবে কাজ করে থাকে। ছোট বাচ্চারা যেমন নতুন যে কোন কিছু জানার পূর্বে উৎসুক মন থাকে। তেমনি এরা সব বিষয় কিংবা বস্তু নিয়ে সারাক্ষন কিউরোসিটি কাজ করে। অন্য যে কোন প্রানী সাধারনত মানূষকে এত ইন্টারটেইন বা বিনোদন দেয় না যতটা বানর বিনোদন দিয়ে থাকে।
বানরের খাবারঃ
বানর খাবারের মধ্যে কলা সবচেয়ে বেশি পছন্দ করে থাকে। তবে বানরের মত হাতিও কলা এবং কলার গাছ খেতে পছন্দ করে থাকে। মানুষের সাথে মিল রেখে অন্যান্য প্রানীদের সাধারনত কম-বেশি ঠান্ডা লেগে থাকে। কিন্তু বানরের এই সাধারন ঠান্ডায় কোন ভাবেই আক্রান্ত হয় না। তবে এরা নিজেরা সর্দিতে আক্রান্ত না হলেও অন্য প্রানীর জন্য অনেক ক্ষতিকর ধরনের ভাইরাস নিয়ে ঘুরে বেড়ায়। এই কারনে এদের থেকে বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস ঘটিত রোগ ছড়ায়। নকল করতে পারা বানরের সম্পর্কে রহস্যময় তথ্য আপনি জানেন কি
পরিশেষে, বানরের সম্পর্কে আরও অনেক কিছু বিচিত্র রকমের তথ্য রয়েছে।
Post a Comment