ঘোড়া সম্পর্কে বিস্ময়কর ও অজানা তথ্য-Know About Horse




হাজার বছর ধরে ঘোড়া মানুষের সঙ্গী হয়ে আছে। ঘোড়াকে সম্ভ্রান্ত  জীব বলা হয়ে থাকে, প্রাচীনকাল থেকেই ঘোড়া মানুষের সবচেয়ে ভালো বন্ধু, যেকোনো জায়গায় পৌঁছে দেয়ার জন্য ঘোড়া মানুষকে সহযোগিতা করে আসছে যুগ যুগ ধরে। এমনকি যুদ্ধ ক্ষেত্রে এরা অবদান রেখেছে।এই একবিংশ শতাব্দীতে এসেও ঘোড়ার কদর এতটুকু কমে যায় নি। আজকে আমাদের পোস্টে সাজানো হয়েছে ঘোড়ার কিছু বিস্ময়কর তথ্য নিয়ে ,আশা করি আপনাদের তথ্যগুলো ভালো লাগব। Ghora niye Ojana Tottho

যেকোন স্তন্যপায়ী প্রাণের চেয়ে ঘোরা চোখ বড় হয়, জন্মের এক ঘন্টা পরে ঘোড়া দৌড়াতে পারে। যে ঘোড়ার লেজে লাল রিবন থাকে সেসব ঘোড়া লাথি মারে সবচেয়ে বেশি,ঘোড়া শুয়ে বা দাঁড়িয়ে উভয় ভাবেই ঘুমাতে পারে। ঘোড়ার চোখগুলো মাথার দুই পাশে অবস্থিত সেজন্যই ঘোড়া ৩৬০ ডিগ্রি ঘুরিয়েই দেখতে পারে। ঘোড়ার দাঁত দেখেই স্ত্রী ও পুরুষ ঘোরা নির্বাচন করা যায় ,স্ত্রী ঘোড়ার ৩৬ টি দাঁত থাকে,এবং পুরুষ ঘোড়ার চল্লিশ টি দাঁত থাকে।

ঘোড়া মিষ্টি স্বাদ পছন্দ করে এবং টক এবং তিতা স্বাদ অপছন্দ করে।ঘোড়া একদিনে প্রায় ১০ গেলন লালা উৎপাদন করে। কোন গ্রান ভালো না মন্দ তা বোঝার জন্য ঘোড়া তার নাককে সম্প্রসারণ করে, এ সম্প্রসারণ করার পদ্ধতিকে ফিলিমেন বলে। এটি করার সময় ঘোড়াকে দেখলে মনে হয় ঘোড়া হাসতেছে।একটি সময় মনে করা হত ঘোড়া বর্নান্ধ,আসলে এটা ঠিক না, তারা রক্ত বর্ন বা বেগুনি বর্নের চেয়ে হলুদ এবং সবুজ বর্ন ভাল দেখতে পায়।

ঘোড়া তার মেজাজ  প্রকাশের জন্য নাক, কান ও চোখ ব্যবহার করে থাকে। মুখের অভিব্যক্তির মাধ্যমে তারা তাদের অনুভূতি প্রকাশ করে।অনেকগুলো ঘোড়া কখনোই একসাথে ঘুমিয়ে থাকেনা, অন্ততপক্ষে একজন হলেও তাদের অন্য সংগীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।ঘোড়া কখনো বমি করতে পারে না,কারন তাদের খাদ্য নালির স্পেলিং কোটা অনেক অন্য প্রাণী দের চেয়ে অনেকশক্তিশালী হয়ে থাকে এজন্য।

ঘোড়া রাতে মানুষের চেয়ে ভালো দেখে কিন্তু অন্ধকার থেকে আলোতে ঘোরার মানিয়ে নিতে অনেকটা সময় লাগে। ঘোড়ার খুরের নিচের দিকে ত্রিকোণাকার একটি অংশ থাকে তাকে  ফলোক বলে। এটি ঘাত শোষক হিসেবে কাজ করে, এবং রক্ত পাম্প করতে সাহায্য করে, ঘোড়ার উচ্চতা মাপার একক কে হান্স বলে,হ্যান্স সমান ৪ ইঞ্চি, সবচেয়ে লম্বা ঘোড়ার উচ্চতা ছিল একুশ দশমিক দুই হ্যান্ডস বা ৭ ফুট ২ ইঞ্চি। ঘোড়ার হৃদপিন্ডের ওজন ৯বাই ১০. পাউন্ড।

 ঘোড়া দৈনিক প্রায় ২৫ গ্যালন পানি পান করে থাকে ,কিন্তু গরমে পরিমাণ আরো বেড়ে যায়।ঘোড়ার খুড় পুনরায় জন্মাতে ৯থেকে ১২মাস সময় লাগে। ঘোড়ার প্রতিটি কানে ১৬টি মাংস পেশি বেশি থাকে, যার ফলে তারা কানকে ১৮০° পর্যন্ত ঘোরাতে পারে।ঘোড়া হচ্ছে একটি সামাজিক প্রাণীর তাই একা থাকলে এরা নিঃসঙ্গতা অনুভব করে ,এবং যদি তাদের সংগী দের মৃত্যু হয় তবে তারা মানুষের মতোই শোকাগ্রস্থ হয়ে পড়ে।

সর্বোপরি ঘোড়া আমাদের খুবই উপকারী একটি প্রাণী, একটি যুগ যুগ ধরে আমাদের পোষা প্রাণী দের মধ্যে অনেক বড় একটা অংশ দখল করে আছে ,বর্তমানে ঘোড়া যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্যে ব্যবহার না হলেও এটি বিনোদনের মাধ্যম এবং পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে ব্যবহার হয়ে থাকে, এবং অনেক সৌখিন লোকেরা অনেক দামি ঘোড়া, অনেক প্রজাতির ঘোড়া ব্যবহার করে থাকেন,

আশা করি ঘোড়া সম্পর্কে আমাদের এই পোস্টটি আপনাদের ভালো লেগেছে ,এরকম আরো অনেক সুন্দর সুন্দর পোস্ট পেতে আমাদের কমেন্ট করে জানান ,এবং আমাদের সঙ্গেই থাকুন ,আমরা এরকম আরো অনেক অজানা তথ্য আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ্‌।

Post a Comment

Post a Comment (0)

Previous Post Next Post