বাসক পাতা ভেষজ গুনে গুনান্বিত

 


বৈজ্ঞানিক নাম: Adhatoda vasica

ইংরেজি: Vasaka


বাসক ভারত উপমহাদেশীয় একটি ভেষজ উদ্ভিদ। আদি যুগ থেকেই বাসক পাতা ভেষজ গুণে গুণান্বিত। বৈজ্ঞানিক পরীক্ষায়ও বাসকের ভেষজ গুণাবলি প্রমাণিত হয়েছে। তাজা অথবা শুকনো পাতা বহু রোগে ওষুধের কাজ করে। সর্দি-কাশির মহা ওষুধ বাসক, একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভেষজ উদ্ভিদ।

 

❏ বাসক পাতার রস ১-২ চামচ হাফ থেকে এক চামচ মধু-সহ খেলে শিশুর সদির্কাশি উপকার পাওয়া যায়।


 ❏ বাসক পাতার রস স্নানের আধ ঘণ্টা আগে মাথায় কয়েক দিন মাখলে উকুন মরে যায়। আমবাত ও ব্রণশোথে (ফোঁড়ার প্রাথমিক অবস্থা) বাসক পাতা বেঁটে প্রলেপ দিলে ফোলা ও ব্যথা কমে যায়।


 ❏ যদি বুকে কফ জমে থাকে এবং তার জন্য শ্বাসকষ্ট হয় বা কাশি হয় তা হলে বাসক পাতার রস ১-২ চামচ এবং কন্টিকারী রস ১-২ চামচ, ১ চামচ মধুসহ খেলে কফ সহজে বেরিয়ে আসে।


 ❏ প্রস্রাবে জ্বালা-যন্ত্রণা থাকলে বাসকের ফুল বেঁটে ২-৩ চামচ ও মিছরি ১-২ চামচ সরবত করে খেলে এই রোগে উপকার পাওয়া যায়।


 ❏ জ্বর হলে বা অল্প জ্বর থাকলে বাসকের মূল ৫-১০ গ্রাম ধুয়ে থেঁতো করে ১০০ মিলিলিটার জলে ফোটাতে হবে।


 ❏ ২৫ মিলিলিটার থাকতে নামিয়ে তা ছেঁকে নিয়ে দিনে ২ বার করে খেলে জ্বর এবং কাশি দুই-ই চলে যায়।


 ❏ বাসকের কচি পাতা ১০-১২টি ও এক টুকরো হলুদ এক সঙ্গে বেঁটে দাদ বা চুলকানিতে লাগালে কয়েক দিনের মধ্যে তা সেরে যায়।


 ❏ বাসক পাতা বা ফুলের রস ১-২ চামচ মধু বা চিনি ১ চামচ-সহ প্রতি দিন খেলে জন্ডিস রেগে উপকার পাওয়া যায়।


 ❏ পাইরিয়া বা দাঁতের মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়লে বাসক পাতা ২০টি থেঁতো করে ২ কাপ জলে সিদ্ধ করে ১ কাপ থাকতে নামিয়ে ঈষদুষ্ণ অবস্থায় কুলকুচি করলে এই রোগে উপকার পাওয়া যায়।


 ❏ যাঁদের হাঁপানির টান আছে তাঁরা বাসক পাতা শুকনো করে, ওই পাতা বিড়ি বা চুরুটের মতো পাকিয়ে, তার সাহায্যে ধূমপান করলে শ্বাসকষ্ট প্রশমিত হয়।


 ❏ যাঁদের গায়ে ঘামের গন্ধ হয় তাঁরা বাসক পাতার রস গায়ে লাগালে দুর্গন্ধ দূর হবে।


 ❏ বাসক পাতার রস ও শঙ্খচূর্ণ মিশিয়ে নিয়মিত ব্যবহার করলে রঙ ফরসা হবে।


 ❏ এক কলসি জলে তিন-চারটি বাসক পাতা ফেলে তিন-চার ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখার পর সেই জল বিশুদ্ধ হয়ে যায়। এর পর ব্যবহার করতে পারেন।


 ❏ পাতার রস নিয়মিত খেলে খিঁচুনি রোগ দূর হয়ে যায়।


 এছাড়া বাসকের পাতা সবুজ খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং পাতা থেকে হলদে রং পাওয়া যায়। বাসক পাতায় এমন কিছু ক্ষারীয় পদার্থ আছে যায় ফলে ছত্রাক জন্মায় না এবং পোকামাকড় ধরে না বলে ফল প্যাকিং এবং সংরক্ষণ করার কাজে ব্যবহৃত হয়।


Post a Comment

Post a Comment (0)

Previous Post Next Post