গাঙচিল | Whiskered Tern | Chlidonias hybridus

গাঙচিল

গাঙচিল, বিশেষ করে Whiskered Tern, এক ধরনের পাখি যা দেশের উপকূলীয় এলাকা এবং নদী তীরবর্তী অঞ্চলে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায়। বৈজ্ঞানিক নাম Chlidonias hybrida এর অধীন এই প্রজাতির পাখি বিশ্বব্যাপী বিস্তৃত।


Whiskered Tern প্রধানত মাছ, জলজ কীট-পতঙ্গ ও ছোটো ছোটো ক্রাস্টাসিয়ান খেয়ে বেঁচে থাকে। এরা একাধারে দিগন্ততীরের নিচে ডানা প্রসারিত করে উড়তে থাকে এবং খাদ্যর সন্ধানে নদী ও পুকুরের ওপর দিয়ে বিচরণ করে। সতর্ক দৃষ্টিতে মাছ অথবা অন্য জলজ প্রাণীদের চোখে পড়লে এরা ডাইভ দিয়ে খাবার সংগ্রহ করে।


গাঙচিলের প্রজননকাল বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বসন্তকাল থেকে শুরু হয়; এ সময় এরা বিশেষভাবে নিশিত উঁচুস্থানে বাসা তৈরি করে। বাসাতে প্রায় দু'টি থেকে তিনটি ডিম পাড়ে এবং ডিম থেকে বাচ্চা ফুটে প্রায় তিন সপ্তাহের মধ্যে। মেয়ে পাখি ডিম পাড়ে এবং নির্দিষ্ট সময় পর ডিমগুলো ফুটিয়ে তুলতে থাকে। বাচ্চাগুলি ডিম থেকে ফুটে বেরোলেই মা-বাবা তাদের দেখভাল করতে শুরু করে।


গাঙচিল অর্থাৎ Whiskered Tern একটি সামাজিক পাখি। এরা সাধারণত বড়ো ঝাঁকে বা দলে বসবাস করে। ঝাঁক হিসেবে থাকার ফলে শিকারিদের থেকে রক্ষা পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এছাড়া একসাথে থাকার ফলে খাদ্যের সন্ধান পাওয়া এবং অন্যান্য বহু সুবিধা মেলে।


অধিকাংশ গাঙচিলের দেহ মধ্যম আকারের হয় এবং এদের গায়ের রঙ সাদা ও ধূসর। এই পাখির স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তাদের লম্বা ও সূক্ষ্ম ঠোঁট, যা মাছ ধরার কাজে আসে। ঠোঁট থেকে মাথার পেছন পর্যন্ত ছড়ান একজোড়া কালো রেখার কারণে এদের Whiskered Tern বলা হয়।


বর্তমানে বিশ্বজুড়ে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে গাঙচিলের আবাসস্থল ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নদীর দূষণ, জলাশয়ের শুকিয়ে যাওয়া এবং মানব জনিত কার্যকলাপের কারণে এই পাখি হুমকির সম্মুখীন।


সর্বশেষ, গাঙচিল তথা Whiskered Tern আমাদের জীববৈচিত্র্য এবং পরিবেশের উল্লেখযোগ্য অঙ্গ। এদের সংরক্ষণ করা আমাদের সকলের দায়িত্ব, যাতে এরা আমাদের সঙ্গে প্রকৃতির ভারসাম্য বজায় রাখতে পারে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এর সৌন্দর্যপূর্ণ উপস্থিতি নিশ্চিত করা যায়। 


(তথ্য সূত্রঃ Wikipedia)

Post a Comment

Post a Comment (0)

Previous Post Next Post