সিলেটের মৌলভীবাজারের কয়েকটি দর্শনীয় স্থান, কীভাবে যাবেন? জেনে নিন



 আসসালামুয়ালাইকুম,

কয়েকদিন আগে, আমি মৌলভীবাজারে্র কয়েকটি স্থানে গিয়েছিলাম। যদি কেউ দু'দিনের একটি শর্ট ট্যুর দিতে চান, এবং আপনি ইতিমধ্যে সিলেট এবং এর আশেপাশেও ভ্রমণ করে ফেলেছেন; চিন্তা করবেন না, আপনার মতো ভ্রমণপিপাসুদের জন্য আরো অনেকগুলো সুন্দর সুন্দর জায়গা অপেক্ষা করছে।


তার আগে আমি নিচে আমার ঘুরতে যাওয়া যায়গা গুলোর সংক্ষিপ্ত তালিকা নিচে দেয়া হলোঃ 


১। লাওয়াছড়া প্রাকৃতিক বন ( সাথে ৭ রঙা চা খেতে ভুলবেন না)


২। মাধব কুন্ড জলপ্রপাত


৩। শ্রীমঙ্গল


৪। ডানকান ব্রাদার্স চা এস্টেট


৫। শ্রীমঙ্গলে পশু আশ্রয়স্থল


৭। রাবার বাগান


৭। হোটেল গ্র্যান্ড সুলতান


৮। মৌলভীবাজার জেলা


কীভাবে যাবেন?:


ঢাকা থেকে সিলেট ৪টি আন্তঃনগর ট্রেন রয়েছে। শুধু ইন্টারনেটে রেলওয়ে roaster চেক করুন এবং একটি টিকেট বুকিং দিন। যদি আপনি দিনের বেলায় ভ্রমণ করেন, তবে শ্রীমঙ্গল ও লাওয়াছড়ার কাছাকাছি ঘুমিয়ে ট্রেনের জারনির বেস্ট পারটটুকু মিস করবেন না। আপনার মনে হবে ট্রেনটি পাহাড়ের মধ্য দিয়ে একটি সাপের মতো একেবেকে চলছে, দুইপাশে সবুজ চা বাগান , কিংবা বিশাল রাবার বাগান। কিন্তু মনে রাখবেন, এত সুন্দর দৃশ্য দেখতে গিয়ে ভুলেও ক্যামেরা বা মোবাইল নিয়ে হাত জানালা দিয়ে বাইরে নিবেন না; অনেক সময় ছিন্তাইকারিরা দূর থেকে চাকু বা দা ছুড়ে মারে।

আপনি বাস এও ভ্রমণ করতে পারেন; শ্রীমঙ্গলে পৌঁছতে বাসে প্রায় ৫ ঘন্টার মত লাগে।


খাদ্য (আমার জন্য ভ্রমণের সময় এটাও গুরুত্বপূর্ণ):


লাঞ্চ: সাতকড়া-শ্রীমঙ্গলেই পাবেন

ডিনার: পানসি-মৌলভীবাজার, এত কম দামে এত সুস্বাদু খাবার এযুগে আর কোথাও পাবেন না। হরেক রকমের ভরতা আছে, রুটি বা নান না খেয়ে ভাত খেলেই বুদ্ধিমানের কাজ করবেন। 


যেসব জিনিষ আপনি বাড়িতে আনতে পারেন:

১। আসল চা, বিশুদ্ধ এবং সত্যিই অসাধারণ স্বাদের

আমি গুপ্ত চা ঘর, (রেল স্টেশনের পাশেই) থেকে ১ প্যাক কিনেছি, দাম ৪৫০ টাকা প্রতি কেজি।৬০০ টাকা কেজির ও এক প্রকার আছে। সবচেয়ে ভাল মান।

২। আরও কিছু জিনিস যা আপনি পছন্দ করতে পারেন, সাতকড়া  (বড় লেবু)


খরচ পাতি:

ঢাকা- শ্রীমঙ্গল ট্রেনের শোভন চেয়ার ২৭৮ টাকা আর এসি বার্থ ৭০০-৮০০ টাকা। এক রাত ২ দিন থাকতে চাইলে থাকা খাওয়া বাবদ ১৫০০- ২০০০ টাকা( depends on your choice) আর যেহেতু সিএনজি দিয়ে শ্রীমঙ্গল - লাওয়াছড়া- মাধব কুন্ড যাতায়াত করবেন, আরো ৫০০ টাকা ধরে রাখতে পারেন।


স্বল্প সময়ের মধ্যে এটি একটি অসাধারন ট্যুর ছিল।

বর্ষায় গেলে আরও জায়গা দেখা যেতে পারতো।  তার পরেও, আমি বলব, আপনার এই বসন্তেও একবার আনারস বাগান বা রাবার বাগান দেখার জন্য ঘুরতে যাওয়া উচিত।


লিখেছেন: Abu Hasan Mehedi


Post a Comment

Post a Comment (0)

Previous Post Next Post