যেদিন থেকে আপনার ভেতর অহংকার ঢুকে যাবে, যেদিন থেকে আপনি নিজেকে বড় প্রমাণে অস্থির হয়ে যাবেন, যেদিন থেকে আপনার কাছে "আমিত্ব" বড় হয়ে যাবে...... ঠিক সেদিন থেকে দেখবেন আপনার আশপাশটা ভেঙ্গেচুরে যাচ্ছে। ঠিক সেদিন থেকে দেখবেন আপনার শুভাকাঙ্ক্ষীরা দূরে সরে যাচ্ছে।
আপনার চেহারা এক ঝলক দেখতে যে উদগ্রীব হয়ে থাকতো, সেও আর আপনার সামনে পড়তে চাইবে না। আপনার সাথে বসে দু'দণ্ড গল্প করতে চাইতো যে মানুষটা, তার আর আপনার সাথে বসতে ইচ্ছে হবে না। আপনার সাথে প্রাণোচ্ছল সময় কাটাতে যে মানুষেরা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতো, তারাও নিজেদের গুটিয়ে নেবে।
শুধুমাত্র নিজেকে বড় প্রমাণের তাগিদে আপনি যাদের এক্সপেক্টেশানকে কোনো প্রায়োরিটি দিচ্ছেন না, একদিন তাদের প্রায়োরিটি লিস্ট থেকেও আপনি হারিয়ে যাবেন।
যারা ভালবেসে যোগাযোগ রাখতো কিন্তু তাদের ভাল-খারাপে আপনার আন্তরিকতার জায়গায় ফরমালিটি উপহার পেয়েছে, তারাও একদিন প্রচণ্ড ফরমাল হয়ে যাবে।
সেদিন কষ্ট পাবেন ঠিকই, কিন্তু যোগাযোগহীনতার দায়টা আপনারই। হয়তো অপর পাশের মানুষেরা আপনার "এক ফোন কল" দূরত্বেই ছিল, কিন্তু ছোট হয়ে যাওয়ার ভয়ে ফোনটা হাতে নেননি।
অথচ আন্তরিকতা দেখিয়ে পৃথিবীর কারও ছোট হয়ে যাওয়ার নজির নেই। বরং আন্তরিকতা দেখিয়ে সম্পর্ককে মধুর করে বড় থেকে আরও বড় হওয়ার সুযোগ আছে।।
আমরা নিচের গল্পটা প্রায়ই ভুলে যাই -
"একদিন জন্ম জিজ্ঞেস করলো মৃত্যুকে - ভাই, আমরা দুজনই একটা প্রক্রিয়ার অংশ। তাও মানুষ আমাকে এত ভালবাসে আর তোমাকে এত ঘৃনা করে কেন?
মৃত্যু তখন জবাব দিল - কারণ, তুমি পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর মিথ্যা। আর আমি পৃথিবীর সবচেয়ে কুৎসিত সত্য!"
----
কুৎসিত সত্যটা আঘাত করার আগে সবাইকে নিয়ে বাঁচার চেষ্টা করাটা জরুরি।।
Post a Comment