গাড়িতে চড়লেই বমি পায়? জেনে নিন সমাধান

 


বমি কেন হয়?


সাধারণত বাস, ব্যক্তিগত গাড়ি কিংবা মাইক্রোবাসে উঠলে মোশন সিকনেস দেখা দেয়। গাড়িতে ওঠার পর আমাদের অন্তঃকর্ণ বা মস্তিষ্ক ধরে নেয়, সে স্থির অবস্থায় আছে। কিন্তু চোখ দেখতে পায় সবকিছু চলমান। অর্থাৎ চোখ ও অন্তঃকর্ণ বা মস্তিষ্কের এই সমন্বয়হীনতার কারণেই তৈরি হয় মোশন সিকনেস। যেখান থেকে শুরু হয় বমি বমি ভাব এবং একসময় বমি হয়েও যায়। এ ছাড়া অ্যাসিডিটি, অসুস্থতা এমনকি বদ্ধ জায়গায় বাজে গন্ধের কারণেও বমি হতে পারে।


কাদের হয়?


নির্দিষ্ট করে বয়স, লিঙ্গ বা গোষ্ঠীকে চিহ্নিত করা যাবে না। তবে ছোটবেলায় কমবেশি সবাই এমন অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যায়। বয়স বাড়লে অনেকেরই তা ঠিকও হয়। তবে বয়সের সঙ্গে সঙ্গে ঠিক না হলে তা কিছুটা চিন্তার বিষয়।



সমাধান

  • যাত্রাপথে বমি থেকে মুক্তি পাওয়ার কোনো নির্দিষ্ট উপায় নেই। অনেক দিন ধরে সমস্যা চলমান থাকলে, সে ব্যাপারে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলাই ভালো। তবে কিছু নিয়ম মেনে চললে হুটহাট বমি পাওয়া থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

  • গাড়িতে সামনের দিকে বসার চেষ্টা করুন। পেছনের দিকে বসলে গাড়িকে বেশি গতিশীল মনে হয়।

  • সম্ভব হলে জানালার পাশে বসুন। জানালা খোলা রাখুন, বাইরের বাতাস ভেতরে আসতে দিন। বাইরের প্রকৃতি উপভোগ করার চেষ্টা করুন। এতে চোখ ও মস্তিষ্ক উভয়েই আপনার গতিশীল অবস্থার সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারবে।

  • প্রয়োজনমতো পানি খান।

  • খালি পেটে ভ্রমণ করবেন না। চেষ্টা করবেন হালকা কিছু খেয়ে ভ্রমণে বের হতে। এতে পেটে অ্যাসিডিটি তৈরি হবে না। অ্যাসিডিটি বমির অন্যতম কারণ।

  • আদা ও দারুচিনি খাবার হজমে সাহায্য করে। বমি পেলে আদা কিংবা দারুচিনি চিবোতে পারেন। এতে সাময়িক বমি বমি ভাব দূর করা সম্ভব।

  • টকজাতীয় ফল খেলেও বমিভাব দূর হয়। এ ছাড়া লেবু, লেবুপাতার ঘ্রাণেও বমি ভাব দূর হয়।

  • এত কিছুর পরও যদি বমি পায়, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। পরামর্শ অনুযায়ী বমির ওষুধ খেয়ে চড়তে পারেন গাড়িঘোড়ায়।


Collected From Prothom Alo


Post a Comment

Post a Comment (0)

Previous Post Next Post