অপমানিত না হলে নিজের ধৈর্য শক্তি বাড়ে কিভাবে?
ভুল মানুষদের পাল্লায় না পড়লে, শুদ্ধ মানুষদের মর্যাদা ঠিকঠাক মতো দিবেন কি করে ?
স্বার্থে আঘাত লেগে খুব চেনা মানুষটা অচেনা না হলে স্বার্থান্বেষী আর নিঃস্বার্থ বন্ধুর পরিচয় পাই কি?
প্যাঁচ- পোঁচ, হাইলি মেনটেইনড, স্নুটিদের সাথে পরিচিত না হলে সারল্যের প্রতি আকর্ষণ তৈরি হয় কি?
ঘুটঘুটে অন্ধকারে না হাঁটলে যেমন আলোর মূল্যায়ন করা যায় না। তেমনি রক্তাক্ত না হলে, নিঃসঙ্গতার অভিজ্ঞতার ভেতর দিয়ে না গেলে, অপবাদের জ্বালা না সইলে, একের পর এক ধাক্কা খেয়ে দেয়ালে পিঠ না ঠেকলে, ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াইটা শিখবেন কই থেকে?
আঘাতকে সম্মান দিতে শিখেন। এরা আমাদের মেরুদণ্ডই কেবল শক্ত করে না। অহংকারী, ঠক, অবিবেচক, স্বার্থান্বেষীদের চিনিয়ে, নিজেকে এদের মতো না হতে চাওয়ার তীব্রতাই আস্তে ধীরে সব অসুন্দর শুষে নিয়ে ভারী নরম সুন্দর মনের মানুষও করে বটে।
আঘাতে আঘাতে ঝলসে হৃদয় খাঁটি সোনা হয় বলেই সে জানে কোনটা বুক পেতে নিতে হয়, কোনটা এড়াতে হয়, আবার কোন আঘাতটার জন্য ইস্পাতের মতো মেরুদণ্ড নিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়ে লড়াই চালিয়ে যেতে হয়। এমন মানুষকে ভাঙবে বা মচকাবে সাধ্যি ক'জনের আছে এই দুনিয়ায়?
লিখেছেন: Milon Chowdhury
Post a Comment