সাপটাকে দেখে কোনো জাতের Cobra বা গোখরা মনে হতে পারে । দক্ষিণ আফ্রিকার এই তীব্র বিষধর সাপটা Elapidae পরিবারের সদস্য । Elapidae পরিবারেই যত পরিচিত বিষধর সাপ আছে যেমন গোখরা, ক্রেইট, কোরাল সাপ, মাম্বা, টাইপ্যান, টাইগার স্নেক, ব্রাউন স্নেক, সামুদ্রিক সাপ ইত্যাদি ।
এই সাপের নাম Rinkhals যার অর্থ গলায় বলয়াকার দাগ । আরেক নাম Ring-necked spitting cobra, অর্থাৎ বিষ ছোঁড়ার ক্ষমতা আছে । দেখতে গোখরার মতো এবং বিষ ছোঁড়ার ক্ষমতা থাকার পরেও সে গোখরা নয় । এটি একটি স্বতন্ত্র প্রজাতি, Hemachatus গণের সদস্য । সমস্ত গোখরা Naja গণের সদস্য ।
রিংকহলদের সাথে গোখরাদের তফাত:
১. রিংকহলদের আঁইশ অমসৃণ, গোখরাদের আঁইশ
মসৃণ ।
২. রিংকহলরা দৈর্ঘ্যে কম, মোটাসোটা হয় । গোখরা সাপেরা দৈর্ঘ্যে তুলনামূলক বেশি ও সরু হয় ।
৩. সবচেয়ে বড় তফাত হলো রিংকহলরা ডিম পাড়ে না, পেটে ডিম ফুটিয়ে পরে প্রসব করে । গোখরা সাপেরা ডিম পাড়ে, আমরা সবাই জানি ।
৪. রিংকহলদের দেহকে উল্টিয়ে মরে যাবার অভিনয় করতে দেখা যায় যা গোখরাদের মধ্যে নেই ।
রিংকহলদের সাথে বিষ নিক্ষেপকারী গোখরা বা Spitting Cobra দের তফাত:
১. স্পিটিং কোবরাদের দাঁত বিষ ছোঁড়ার জন্য বিশেষভাবে অভিযোজিত হয়েছে । বিষদাঁত সিরিঞ্জের সুঁইয়ের মতো ফাঁপা ও তীক্ষ্ণ প্রান্তে সরু গোলাকার ছিদ্রযুক্ত । যে সব গোখরা বিষ নিক্ষেপ করে না তাদের বিষদাঁতের ছিদ্রের গড়ন ভিন্ন । রিংকহলদের দাঁত খাঁজযুক্ত । খাঁজ দিয়ে নালার মতো বিষ বেয়ে আসে ।
২. দাঁতের গড়নের কারণে স্পিটিং কোবরারা ফণা না তুলেই মাথা সামান্য উঁচিয়েই বিষ ছুঁড়তে পারে, ফণা তুলে থাকলে মাথাটা সামান্য সামনে ঝুঁকিয়ে দিতে হয় । রিংকহলদের এমন ব্যবস্থা নেই তাই তাদের বিষ ছুঁড়তে হলে ফণা তুলতে হয়, তারপর ফণাসহ দণ্ডায়মান দেহ পেছনে কিছুটা টেনে সামনে সজোরে এগিয়ে দিতে হয় । বিষ ছোঁড়ার পর ফণা মাটিতে পড়ে ।
Post a Comment