কসমস। Cosmos। Cosmos bipinnatus


কসমস (Cosmos)
কসমস (Cosmos)

কসমস ফুল, যার বৈজ্ঞানিক নাম Cosmos bipinnatus, পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে বিদেশী ফুল হিসেবে পরিচিত। এ ফুলের বৈশিষ্ট্য সম্বন্ধে জানার আগে এর উৎপত্তি ও গঠন সম্বন্ধে কিছুটা উপলব্ধি করা প্রয়োজন। 


কসমস ফুল মেক্সিকো ও অন্যান্য তুলনামূলক উষ্ণ অঞ্চল থেকে বিশ্বব্যাপী বিস্তৃত হয়ে উজ্জ্বল ছবি তৈরি করেছে। এটি সাধারণত উঁচু, সরল এবং সরু পাতাবিশিষ্ট গাছ যা প্রভূত পরিমাণে ফুল ধারণ করে। এ ফুলের পাপড়িগুলি ব্যাসার্ধীয় ধারায় সাজানো থাকে এবং বিভিন্ন রংয়ে প্রদর্শিত হয় — সাদা, গোলাপি, লাল, পার্পল ইত্যাদি।


এ ফুলের বৈশিষ্ট্যে এর আকর্ষণীয়তা, প্রসারিত পাপড়ি এবং সুগন্ধী গন্ধ উল্লেখযোগ্য। আকর্ষণীয় সৌন্দর্যের কারণে উদ্যান সাজাতে ও প্রাকৃতিক দৃশ্যপটে ব্যবহৃত হয়। কসমস ফুলের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো এর প্রাণবন্ত রঙ। নানা রঙের সমাহার এ ফুলকে আরও বেশি চিত্তাকর্ষক করে তোলে। বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে, এ ফুল কিছুটা হালকা যা তাকে পতঙ্গাবরণীর জন্য অতি যোগ্য করে তোলে।


কসমস ফুল গাছের উচ্চতা সাধারণত ১-২ মিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে এবং এ ফুলগুলি খুবই কম পানির প্রয়োজন মেটাতে পারে। দৃঢ় ও তেজস্ক্রিয় এ ফুলগুলি প্রতিকূল পরিবেশেও টিকে থাকে। এ ফুলের মধু এবং পরাগরশ্মি পতঙ্গমুগ্ধ করার ক্ষমতাও এর অন্যতম বৈশিষ্ট্য। 


এ ফুলের আরেকটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলো এর দীর্ঘ সময় ধরে প্রস্ফুটিত থাকার সক্ষমতা। গ্রীষ্ম থেকে শীতের মাঝামাঝি পর্যন্ত এ ফুলের প্রসারণ লক্ষ্য করা যায়। দ্রুত বৃদ্ধিশীল এবং সহজে পরিচর্যাযোগ্য হওয়ায় মালী ও উদ্যানপ্রেমীদের কাছে এর চাহিদা ব্যাপক।


এভাবে বাংলার ভূগোল পটে এ ফুলটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। কসমস ফুলের বৈশিষ্ট্যগুলো তার স্পষ্টতা, সৌন্দর্য, এবং দীর্ঘ সময় ধরে প্রস্ফুটিত থাকার কারণে উদ্যান পরিকল্পনা ও পুষ্পায়ণের নকশায় অপরিহার্য অংশ হয়ে উঠেছে।


তথ্য সংগ্রহঃ 

1. wikipedia common

2. wikipedia, 

3. britannica.


Post a Comment

Post a Comment (0)

Previous Post Next Post