ছেলেতো বড় ব্যবসায়ী/বড় চাকুরিজীবি।
আমার বিয়ে ঠিক হওয়ার পর এ ধরনের কথা আমার অনেক শুনতে হয়েছে আশেপাশের লোকজন ও কিছু আত্মীয় সজনের কাছ থেকে।
কিন্তু আমার কাছে মনে হতো সেই অল্প বয়সেও দেনমোহর হচ্ছে স্ত্রীর কাছে স্বামীর দেওয়া খুশি হয়ে সারাজীবনের বন্ধনের মূল্যবান উপহার।
যা স্বামীই সিদ্ধান্ত নিবে স্ত্রীকে কতটুকু দেনমোহর দিতে পারবে।
যদি এমন হয় স্ত্রীকে তার সারাজীবনের জন্য জীবন সংগী হিসেবে পাশে রাখতে ইচ্ছে না হয় তো দেনমোহরের বড় মাপের এমাউন্ট দেওয়ার দ্বায়বদ্ধ হওয়ার কারনে জোর করে সংসার না করতে হয়।
হতে পারে এমন তো বিয়ের কয়েক বছর পর স্ত্রীর সাথে কোন ভাবেই ভালো থাকা যায়না।
তবুও মোটা অংকের দেনমোহরের পরিশোধের হিসাবের নিয়মে অসুস্থ জীবন যাপন করা।
আবার বড় মাপের দেনমোহর পরিশোধটা না করতে পারা স্বামীর দ্বায়ভার স্বামী স্ত্রীর কাছে ইসলামের নিয়ম অনুযায়ী সারাজীবন ঋনি থাকা।
এসব দ্বায়বদ্ধতার কঠিন পরিস্থিতি থেকে মুক্তি রাখার জন্য আমার স্বামীর কাছে আমার দেনমোহর ধার্য্য করা হলো মাত্র দুই লক্ষ টাকা।
যা আমার স্বামীর কাছে পরিশোধ করা এক মিঃ এর ব্যাপার ছিলো।
অনেক মেয়েরাই দেনমোহরের টাকার পরিমাণটা নিজের যোগ্যতা ও নিজের ব্যক্তিগত মূল্যায়ন মনে করেন।
যা একজন স্ত্রীর স্বামীর কাছে জোর পূর্বক মূল্যায়ন স্হাপন করা।
আমার কাছে ঠিক এমনটাই মনে হয়।
স্বামীর মনে যদি স্ত্রীর জন্য এতোটুকুও ভালোবাসা ও মূল্যায়ন না থাকে তো মোটা অংকের দেনমোহরের ফাঁদে ফেলে স্বামীর সংস্পর্শেই যাওয়াটা নিছক নিজেকেই মূল্যহীন করা আমি মনে করি।
সংসার জীবনে একজন আরেকজনের বিরুদ্ধে হাজার অভিযোগ থাকার পরেও দিন শেষে মনের গভীরে জীবন সংগীর ভালো কাজটাকে কিংবা মনের গভীরে লুকিয়ে থাকা ভালোবাসাটাকে স্পর্শ করে এক সাথে জীবন পার করাটাই হচ্ছে সংসার জীবন।
তাহলে কেন এখানে নিজের মূল্যায়নটার দরদাম করা কিংবা দেনমোহরের কশাই খানায় স্বামীকে সারাজীবন বন্দী রেখে কিছু মানুষ খুব বেশি ভালো থাকেন।
লিখেছেন: Sayeda Keya
Post a Comment