যেকোনো ব্যবসা করতে গেলে প্রথমেই পুজির কথা ভাবতে হয়। কারন পুঁজি হচ্ছে ব্যবসায়ের প্রাণ। তবে ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে পুঁজির চেয়ে বড় জিনিস হলো উদ্যোগ, উদ্যোক্তা,পরিশ্রম, সততা, বুদ্ধিমত্তা, ঝুঁকি গ্রহণ করার সাহস ইত্যাদি। বর্তমানে আমাদের দেশে মোট জনসংখ্যার এক- তৃতীয়াংশ হচ্ছে যুবক- যুবতী। কিন্তু আমাদের দেশের অনেক যুবক- যুবতী আজকাল ব্যবসা করতে চায়। কিন্তু অধিকাংশ যুবকের পুঁজি কম থাকায় ব্যবসা করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই আমাদের অল্প পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসার সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। তাহলে আমরা কম পুজিতে লাভজনক ব্যবসা শুরু করে সফল হতে পারব।
|
ব্যবসায়িক ধারনা যা কাজ সবার কাজে আসবে |
আর্থ- সামাজিক উন্নয়নে ব্যবসায় উদ্যোগ ও উদ্যোক্তা লাভবান হওয়ার আশায় লোকসানের সম্ভাবনা জেনে ও ঝুঁকি নিয়ে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠার জন্য দৃঢ়ভাবে এগিয়ে যাওয়া ও সফলভাবে পরিচালনাই ব্যবসায় উদ্যোগ। আর যিনি ব্যবসায়ের উদ্যোগ গ্রহণ করেন তিনি উদ্যোক্তা।
যেকোনো দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যবসায় উদ্যোগ ও উদ্যোক্তার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। আজকাল উন্নত দেশগুলোর অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের ভিত্তি হচ্ছে উদ্যোক্তাদের সক্রিয় ভুমিকা। বাংলাদেশের মতো বিশাল জনগোষ্ঠীর দেশে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ও ব্যবসায় উদ্যোগ ও উদ্যোক্তার প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। যেমন -
১) উদ্যোগ ও উদ্যোক্তার সমন্বয়ে আমাদের দেশে প্রাকৃতিক সম্পদ ও মানব সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করে শিল্প স্থাপনের মাধ্যমে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করা যায়।
২) ব্যবসায় উদ্যোগের মাধ্যমে জাতীয় আয় বৃদ্ধি পায়।
৩) সরকারের পাশাপাশি উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে দেশে শিল্প- কারখানা স্থাপনের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয় যা বেকার সমস্যা দূর করে।
৪) বাংলাদেশ একটি জনবহুল দেশ। উদ্যোক্তা দেশে অদক্ষ জনগোষ্ঠীকে উৎপাদনশীল কাজে নিয়োজিত করে দক্ষ মানবসম্পদে রুপান্তর করতে পারে।
ক্ষুদ্র ব্যবসায়ের উপযুক্ত ক্ষেত্রসমূহ
আমরা সবাই প্রতিনিয়ত কিছু না কিছু করতে চাই। আমরা সবাই ভাবি কিভাবে নতুন কিছু করে আয় বাড়ানো যায়, কম টাকার ব্যবসা করে উন্নতি করা যায়, কিভাবে অল্প পুঁজি দিয়ে নতুন ব্যবসা শুরু করা যায়, কম মূলধন নিয়ে কম ঝুঁকির ব্যবসা শুরু করা যায় ইত্যাদি। এক্ষেত্রে আমাদের কম পুজির লাভজনক ব্যবসা সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। যেমন -
১) নিত্য ব্যবহার্য পণ্যাদির ব্যবসা -
আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে নিত্য ব্যবহার্য পণ্যের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। তাই অল্প টাকা দিয়ে নিত্য ব্যবহার্য পণ্যের ব্যবসা লাভজনকভাবে পরিচালনা করা যায়।যেমন - মুদি দোকান, স্টেশনারি দোকান, ঔষধের ফার্মেসি ইত্যাদি।
২) স্থানীয় ও সীমাবদ্ধ চাহিদাবিশিষ্ট পণ্য -
ছোট ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে মূলধন কম তাই ঝুঁকির পরিমাণ ও কম। স্থানীয় ও সীমাবদ্ধ চাহিদার পণ্যের ব্যবসা কম পুঁজি দিয়ে লাভজনকভাবে পরিচালনা করা যায়।যেমন - মাছ, মাংস, তরিতরকারি ইত্যাদি ব্যবসা।
৩) কম ঝুঁকিপূর্ণ ব্যবসা -
কম ঝুঁকিপূর্ণ অথচ মুনাফার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে সেক্ষেত্রে আটা, ময়দা, ধান, চাল ইত্যাদি অল্প টাকার ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে উপযুক্ত।
৪) পচনশীল দ্রব্যের ব্যবসা -
কিছু কিছু পণ্যের ব্যবসায়ে লসের পরিমাণ লাভের চেয়ে অনেক কম। সেক্ষেত্রে দুধ, ডিম,মাছ, শাকসবজি, ফলমূল ইত্যাদি ব্যবসায়ে কম টাকা দিয়ে লাভ করা যায়।
৫) কৃষিজ পণ্যের ব্যবসা -
বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ। তাই এদেশে কৃষি পণ্যের ব্যবসা করে কম পুজি দিয়ে অনেক টাকা আয় করা যায়। যারা কম টাকা দিয়ে নতুন ব্যবসা শুরু করতে চান তাদের ক্ষেত্রে কম পুজির এসব ব্যবসা উপযুক্ত।
৬) প্রত্যক্ষ সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান -
গ্রাহকদের সরাসরি সেবাদানের সঙ্গে জড়িত ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানসমূহ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ের ভিত্তিতে সংগঠিত ও পরিচালিত হয়। যেমন - সেলুন, লন্ড্রি, বিউটি পার্লার ইত্যাদি। এসব ব্যবসায়ের সুবিধা হল সময় কম লাগে, টাকাও কম লাগে এবং ঝুঁকির পরিমাণও কম থাকে।
৭) ব্যক্তিগত নৈপুণ্য প্রদর্শন -
কিছু কিছু ছোট ব্যবসায় ব্যক্তিগত নৈপুণ্য প্রদর্শনের মাধ্যমে সফলভাবে পরিচালনা করা যায়। যেমন - চিত্রকর, কামার, কুমার, স্বর্ণকার ইত্যাদি।
৮) নগদ বিক্রয় -
যেসব ব্যবসায়ে নগদ বিক্রয়ের পরিমাণ বেশি থাকে সেসব ব্যবসা অল্প টাকা বা কম টাকা দিয়ে গঠন ও পরিচালনা করা যায়। যেমন - মিষ্টির দোকান, চা - নাস্তার দোকান ইত্যাদি।
৯) সাময়িক ব্যবসা -
কোন বিশেষ মৌসুমে সাময়িকভাবে গড়ে ওঠা ব্যবসা ছোট ব্যবসা হিসেবে পরিচালিত হয়। যেমন - গ্রাহকদের সরাসরি সেবাদানের সঙ্গে জড়িত ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানসমূহ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ের ভিত্তিতে সংগঠিত ও পরিচালিত হয়। যেমন - সেলুন, লন্ড্রি, বিউটি পার্লার ইত্যাদি। এসব ব্যবসায়ের সুবিধা হল সময় কম লাগে, টাকাও কম লাগে এবং ঝুঁকির পরিমাণও কম থাকে।
১০) পরিবর্তনশীল চাহিদাবিশিষ্ট পণ্য -
যেসব পণ্যের চাহিদা সদা পরিবর্তনশীল সেসব পণ্যের উৎপাদন ও বন্টন ছোট ব্যবসায়ের মাধ্যমে পরিচালিত হওয়া সুবিধাজনক। যেমন - পোশাক তৈরি, আসবাবপত্রের দোকান ইত্যাদি। এসব পণ্যের চাহিদা দ্রুত পরিবর্তন হয় বিধায় কম পুঁজি ও কম ঝুঁকির ব্যবসা হিসেবে সফলতার সাথে পরিচালনা করা যায়।
মোটকথা, বাংলাদেশের মতো বিশাল জনগোষ্ঠীর দেশে ব্যবসা হচ্ছে একমাত্র মাধ্যম যার মাধ্যমে এই জনগোষ্ঠীকে জনসম্পদে রুপান্তর করা যায়। কিন্তু ব্যবসা করতে গেলে প্রথমে যে জিনিসটির কথা মাথায় আসে সেটা হচ্ছে মূলধন। আমরা মনে করি মূলধন বেশি হলেই বেশি লাভ করা যায়।
কিন্তু সফলভাবে ব্যবসা করতে গেলে শুধু মূলধন হলে হয় না । তার জন্য ব্যবসায় উদ্যোগ, পরিশ্রম, সততা, যেকোনো পরিস্থিতিতে যথাযথ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার ক্ষমতা, বুদ্ধিমত্তা ইত্যাদির সমন্বয় প্রয়োজন।
বর্তমানে আমাদের দেশে যুবক- যুবতীরা নতুন নতুন ব্যবসা করার প্রতি বেশি আগ্রহ দেখায়। তাই এক্ষেত্রে আমরা সবাই বিশেষ করে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা থাকলে দেশে দক্ষ উদ্যোক্তা গড়ে তোলা সম্ভব।
উদ্যোক্তারা দেশে ব্যবসা সম্পর্কে গবেষণা করে কোন ব্যবসা কিভাবে করলে লাভ হবে সেই সম্পর্কে সবাইকে ধারণা দিতে পারবে। সেক্ষেত্রে যারা নতুন ব্যবসা শুরু করে লাভবান হতে চায় তাদের জন্য কম পুজির ব্যবসা উপযুক্ত। কারন এখানে মুলধন কম, তাই ঝুকিও কম কিন্তু তুলনামূলকভাবে লাভ বেশি।
তাই যারা নতুন করে ব্যবসা করার কথা ভাবছেন তারা কম পুজির ব্যবসা দিয়ে সফল হয়ে বড় ব্যবসায়ের পরিকল্পনা করুন। এতে আপনার অভিজ্ঞতা হবে এবং ব্যবসা লাভজনকভাবে পরিচালনা করা যাবে।
পরিশ্রম আর আগ্রহের সমন্বয় ঘটাতে পারলে অবশ্যই মিলে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য।
বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ১৬ কোটি জনসংখ্যার বাস বাংলাদেশে। বাংলাদেশ এশিয়ার দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত এবং বার্মা,ভারত ও নেপালের সীমান্তে অবস্থিত। বাংলাদেশের রাজধানী শহর ঢাকা এবং এটির ভাষা বাংলা। বাংলাদেশ অর্থনীতি একটি উন্নয়নশীল ধারায় প্রবাহিত হচ্ছে এবং দেশটির অর্থনীতি বর্তমানে বিশ্বের ১১ টি উদীয়মান অর্থনীতির মধ্যে একটি হিসাবে গণ্য করা হয়। মুহাম্মদ ইউনূসকে বিশব্ব্যপী কৃতিত্বের সাথে ক্ষুদ্রঋণ ব্যাংকের উদ্দ্যোক্তা হিসাবে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়া হয়।
কৃষি বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। বাংলাদেশে ধান, পাট, গম, কলা, আম, আলু, গ্রীষ্মমন্ডলীয় ফল, পেঁয়াজ, চা, আনারস ইত্যাদি ভাল জন্মে থাকে। একারনে বাংলাদেশকে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মধ্যে সর্বাধিক কৃষি পণ্য রপ্তানিকারক হিসাবে গণ্য করা হয়।
বাংলাদেশ সরকার বিদেশী বিনিয়োগকারীদের উৎসাহিত করতে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা প্রদান করছে। যদি আপনি উদ্যোক্তা হিসাবে বাংলাদেশে ব্যবসা শুরু করতে চান, তাহলে এখানে বিনিয়োগ করার মত একটি সুন্দর, নিরাপদ পরিবেশ পাবেন কারণ বাংলাদেশে একটি স্পন্দনশীল সামাজিক উদ্যোগ ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে যা বিশ্বের সবচেয়ে দক্ষ উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত হয়।
তাই আপনার যেই কাজে অভিজ্ঞতা ও আগ্রহ বেশি সেই কাজের উপর ভিত্তি করেই ক্যরিয়ার গড়ে তুলুন। বাংলাদেশে ব্যবসায় উন্নয়নের সুবিধা বেশি ও চাহিদা রয়েছে এমন কয়েকটি ক্ষুদ্র শিল্প খাত নিম্নে আলোচনা করা হল-
১) এফিলিয়েট মার্কেটিং
এফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে কোনো পন্য বিক্রয়ে কাউকে সাহায্য করা বা কমিশনের ভিত্তিতে মধ্যস্তকারী হিসেবে কাজ করা। এর জন্য আপনার প্রয়োজন সময়, একটি ওয়েবসাইট, এবং ইনভেস্টমেন্ট ক্ষমতা। এটি একটি অনলাইন ভিত্তিক পেশা। কোনো কোম্পানির সাথে চুক্তির মাধ্যমে এজেন্ট হিসেবে এই কাজটি করতে পারেন।
২) ফল ও ফলজ উদ্ভিদ রপ্তানিকারক
বাংলাদেশ গ্রীষ্মমন্ডলীয় ফসলের সবচেয়ে বড় রপ্তানিকারকদের মধ্যে অন্যতম। বাংলাদেশ কলা, আম, গ্রীষ্মমন্ডলীয় ফল, এবং আনারস চাষের জন্য অত্যন্ত উপযুক্ত একটি স্থান। এখানে বিনিয়োগ করলে আপনাকে স্থানীয় বাজারে সরবরাহ করতে হবে না বরং আন্তর্জাতিক বাজারেও সরবরাহ করতে পারবেন।
৩)কম্পিউটার ট্রেইনিং ইনস্টিটিউট
কম্পিউটার সচেতন পেশাদারদের জন্য এটি একটি আদর্শ ব্যবসায়িক সুযোগ। কম্পিউটার শেখার জন্য ছাত্রছাত্রীরা ভালো ট্রেইনিং সেন্টার খুঁজে। আপনি যদি কম্পিউটার এক্সপার্ট হন তাহলে দেরি না করে এখুনি ব্যবসায়ের পরিকল্পনাটি করতে পারেন।
৪) ফ্যাশন ডিজাইনিং
এটি একটি ক্রিয়েটিভ ও জনপ্রিয় ক্ষেত্র। এই সেক্টর থেকে আপনার বুদ্ধিকে কাজে লাগিয়ে শুরুতেই প্রতি মাসে ২০,০০০ থেকে ৫০,০০০ টাকা উপার্জন করতে পারেন। বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে ৩মাস, ৬মাস বা ১/২বছর মেয়াদে কোর্স করে আপনিও হতে পারেন ফ্যাশন ডিজাইনার।
৫)সীফুড এবং মাছ ব্যবসা
সীফুড এবং মাছ ব্যবসায় আরেকটি অত্যন্ত সমৃদ্ধ ব্যবসায় যা আপনি বাংলাদেশে করতে পারেন। আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে সীফুড এবং মাছ রপ্তানি করতে চান, তবে এখানে আপনার জন্য একটি বড় আন্তর্জাতিক বাজার অপেক্ষা করছে। আপনি ১৬০ মিলিয়ন লোকের খাদ্য নিরুপনে অবদান রাখতে পারার পাশপাশি একটি লাভজনক ক্ষেত্রে নিজের বিনিয়োগ করতে পারবেন।
৬)মালবাহী পন্য ফরওয়ার্ডিং ব্যবসা
বাংলাদেশে উৎপাদিত বেশিরভাগ পণ্য বিশ্বের বাকি অংশে রপ্তানি করা হয়, তাই এখানে অত্যন্ত সমৃদ্ধশালী “মালবাহী জাহাজ শিল্প” তৈরি হয়েছে। এই ব্যবসার মধ্যে প্রবেশ করার জন্য আপনাকে অবশ্যই আপনার কোম্পানির নিবন্ধন সম্পন্ন করাতে হবে। আপনার ব্যবসায়িক লাইসেন্সটি সরকার থেকে অনুমোদন নিতে হবে। আপনার অফিসের জন্য একটি ভাল অবস্থান খুজে নিন, তারপর আপনার পণ্যগুলি উৎপাদনকারী কোম্পানির মাধ্যমে বাজারজাত করতে পারেন
৭)চা উৎপাদনকারী কোম্পানি প্রতিষ্ঠা
চা চাষের জন্য বাংলাদেশের মাটির গঠন এবং আবহাওয়া অত্যন্ত উপযুক্ত। সুতরাং, বাংলাদেশে আপনি আপনার চা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানটি শুরু করতে পারেন। চায়ের ব্যবসা সম্পর্কে একটি ভাল জিনিস হল আপনি কেবলমাত্র আপনার টার্গেট বাজারেই ১৬০ মিলিয়নেরও বেশি লোকের যোগানদাতা হতে পারবেন। চায়ের ব্যবসা একটি টেকসই ব্যবসা এবং বিশেষ করে এটি ভাল প্যাকেজ এবং ব্র্যান্ডেড চায়ের ব্যবসা শুরু করতে পারেন, তাহলে বিশ্বব্যাপী বাজারে আপনি আপনার চা বাযারজাত করে সফল হতে পারবেন।
৮) স্যালুন ব্যবসা
আপনি বাংলাদেশে ব্যবসা শুরু করার জন্য কম মূলধন-এ স্যালুন প্রতিষ্ঠার কথা ভাবতে পারেন। আপনি একটি ছোট দোকানঘর, একটি বড় আয়না, একটি ছোট বিদ্যুত জেনারেটর আর কিছু দরকারি জিনিস্পত্রের এর ব্যবস্থা করে স্যালুন ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এটি একটি লাগজনক ব্যবসা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত।
সোর্স: somewhereinblog.net
Post a Comment