আমার জীবনে কোনো দুঃখ নাই

আমার জীবনে কোনো দুঃখ নাই। 

একদম সত্য কথা। 

বিন্দুমাত্র কোনো দুঃখ নাই। 

কারণ আমি দুঃখ পুষতে পারি না। কষ্ট জীবনে কম পাই নাই, কিন্তু পুষে রাখতে পারি না এসব। কতোদিকে কতো মানুষ যে জীবনে বঞ্চিত করেছে, কতো মানুষ যে হিসাবের ভাগটা মেরে খেয়েছে, কতো মানুষ যে স্বার্থ ফুরানোর পর পিছে গিয়ে কটু কথা বলেছে তার কোনো ইয়ত্তা নাই। কিন্তু আমি দুঃখ পুষে রাখি নাই। 

শুনতে একটু অদ্ভুত শোনালেও - আমি কয়েক সেকেন্ডের ভেতর স্বপ্ন দেখি, তাও আবার জেগে জেগেই! 

ধরেন আপনার সাথে বসে আড্ডা দিচ্ছি। হঠাৎ দেখবেন আমি কয়েক সেকেন্ডের জন্য কোনো একদিকে উদাস হয়ে তাকায়ে আছি। ওই কয়েক সেকেন্ডে আমি উপন্যাসের সমান বড় স্বপ্ন দেখে ফেলি! 

এই স্বপ্নগুলো কি আমার ভাবনার ফসল নাকি নতুন ভাবনার খোরাক তা আমাকে মাঝে মাঝেই ভাবায়। কিন্তু এর কোনো সদুত্তর আমার কাছে নাই। 

যাকগে, স্বপ্নের কথায় আসি। 
স্বপ্নগুলো মাল্টি-ডাইমেনশনাল। কোনো নির্দিষ্ট স্থান-কাল-পাত্র নাই। একেক সময় একেক রকম। তবে বেশিরভাগ স্বপ্নের এন্ডিং সুন্দর। স্বপ্নে মৃত্যু থাকলে তখন মৃত্যুটাও সুন্দরভাবে আসে। শান্তি নিয়ে চোখ বুজা যাকে বলে আর কি। শান্তির মৃত্যু। 

দুঃখ পেয়ে ভুলে যাওয়ার এই ক্ষমতা আমাকে অতিমানব বা মহামানব বানাবে কি না জানিনা, কিন্তু আমি মোটামুটি শিওর যে আমার যাওয়ার বেলায় মুখে এক টুকরো হাসিই লেগে থাকবে। 

স্বপ্ন-মৃত্যু-শান্তি এইসব নিয়ে যার কারবার তার জীবনে দুঃখের কোনো স্থান দেওয়ার জায়গা থাকার কথা না। 

ছাঁইপাশ লিখি না বহুদিন। আগের মতো আর মানুষকে কাছ থেকে দেখার সময়টা হয়ে ওঠে না খুব একটা। যেদিকে তাকাই, সেদিকেই দেখি দুঃখবিলাসী মানুষজন। কেউ কারণে দুঃখী, কেউ অকারণে। 

অকারণে দুঃখী মানুষগুলো মৃত্যুর চিন্তা করে না। এরা বড় পরিসরে স্বপ্ন দেখে না। এদের কাছে জীবনে শান্তির প্রয়োজনীয়তাটা কম। এদের ছোটো মন সবসময় ইমেডিয়েট ইফেক্ট চায়। যা হওয়ার যেন এখনই হতে হবে! যা পাওয়ার যেন আজই পেতে হবে! 

এতো চাওয়া আর পাওয়ার মাঝে ডুবতে ডুবতে এরা দাবী করে এরা দুঃখের সাগরে হাবুডুবু খাচ্ছে! এরা দুঃখী সাজতে পছন্দ করে।

আমার জীবনে এসব দুঃখের কোনো অস্তিত্ব নাই।।

Post a Comment

Post a Comment (0)

Previous Post Next Post