শালবন বিহার,
কোটবাড়ি, ময়নামতি, কুমিল্লা।
কুমিল্লার কোটবাড়ীর ময়নামতি জাদুঘরের কাছেই শালবন বৌদ্ধবিহার। অষ্টম শতকে নির্মিত এই প্রত্নসম্পদের অপরূপ সৌন্দর্য দেখতে শত শত পর্যটক প্রতিদিন ভিড় করেন।ঈদের এই ছুটিতে বেশি থাকে দর্শনার্থী সমাগম।
কুমিল্লা প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর সূত্র জানায়, শালবন বৌদ্ধবিহারের আয়তন ৩৭ একর। অমূল্য প্রত্নসম্পদে সমৃদ্ধ স্থানটি আগে শালবন রাজার বাড়ি নামে পরিচিত ছিল। কিন্তু সেখানে ১৯৫৫ সালে খননের পর ৫৫০ ফুট এলাকাজুড়ে বিস্তৃত একটি বৌদ্ধবিহারের ভূমি নকশা উন্মোচিত হয়। এতে ১১৫টি ভিক্ষুকক্ষ রয়েছে। লালমাই পাহাড় এলাকায় বিহারটির আশপাশে একসময় শাল-গজারির ঘন বন ছিল। তাই বিহারটির নাম দেওয়া হয় শালবন বিহার।
শালবন বিহারের মধ্যভাগে একটি মন্দির ও উত্তর বাহুর মাঝামাঝি স্থানে রয়েছে নান্দনিক ও কারুকার্যময় প্রবেশ তোরণ। খননে প্রাপ্ত একটি পোড়ামাটির নিদর্শন থেকে জানা যায়, দেব বংশের চতুর্থ রাজা শ্রী ভবদেব খ্রিষ্টীয় আট শতকে এ বিহার নির্মাণ করেন। তখন বিহারটির নাম ছিল ভবদেব মহাবিহার। এ বিহার থেকে সংগৃহীত বিপুল পরিমাণ প্রত্নসম্পদ ময়নামতি জাদুঘরে প্রদর্শিত হচ্ছে।
পুরো বৌদ্ধবিহারের মধ্যে রয়েছে হরেক রকমের ফুল—কসমস, ডালিয়া, জিনিয়া, মৌচান্দা, সেলভিয়া, বোতাম, গোলাপ, সিলভিয়া, কেলানডোলা ইত্যাদি। বছরজুড়ে ঋতুভিত্তিক নানা প্রজাতির ফুলের গাছও লাগানো হয়।
এতে দেশি পর্যটকদের প্রবেশ ফি জনপ্রতি ২০ টাকা এবং সার্কভুক্ত আটটি দেশের পর্যটকদের জন্য ১০০ টাকা এবং অন্যান্য দেশের জন্য ২০০ টাকা হারে নির্ধারিত রয়েছে।
প্রাচীনকাল থেকে কুমিল্লা অঞ্চল শিক্ষা, শিল্প, সাহিত্য, চিত্রকলা ও সংস্কৃতিতে সমৃদ্ধ।
নিদিষ্ট স্থানে ময়লা ফেলুন পরিবেশ সুন্দর রাখুন।
Post a Comment