* নাটোর রানী ভবানী রাজবাড়ী
নাটোর মাদ্রাসা মোড থেকে মাত্র ২০ টাকা রিকশা বা অটোযোগে পৌঁছাতে পারেন নাটোর রাজবাড়ী।
বাংলার অন্যতম বৃহত্তম জমিদারী ছিল নাটোরের জমিদারী।সম্ভবত ১৭০৬-১৭১০ সালে ৫০.৪২ একর জায়গায় উপর নির্মিত হয়েছিলো এই নাটোর রাজবাড়ি।
ছোটবড় ৮টি ভবন আজও দাঁড়িয়ে আছে কালের সাক্ষী হয়ে।
পুরো এলাকাটি ২টি অংশে বিভক্ত - ছোট তরফ ও বড় তরফ। রানী ভবানীর বড় পুত্র বড় তরফ নামে এবং ছোট পুত্র ছোট তরফ নামে পরিচিত ছিলেন। রানীর মৃত্যুর পর তাঁর দুই পুত্রের মধ্যে জমিদারী ভাগ হয়ে যায়।
*বাঘা মসজিদ
রাজশাহী শহর থেকে প্রায় ৪০ কি. মি. দক্ষিণ-পূর্বে বাঘাতে সুলতান নাসিরুদ্দিন নশরত শাহ কর্তৃক নির্মিত এই মসজিদটি অবস্থিত।এটি ১৫২৩-১৫২৪ সালে নির্মাণ করা হয়।মসজিদটি অনবদ্য পোড়ামাটির অলঙ্করণের জন্য বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। অনেক অলঙ্করণ ইতোমধ্যে নষ্ট হয়ে গেলেও মসজিদের ভেতরে ও বাইরে এখনও প্রচুর পরিমাণে টেরাকোটার নকশা বিদ্যমান।মসজিদে গম্বুজ রয়েছে ১০টি আর ভেতরে রয়েছে ৬টি স্তম্ভ।
ইতিহাসের ছাত্র হিসেবে চার বছর এই সেই ঘাঁটাঘাঁটি করে অবশেষে সৌভাগ্য হলো প্রাচীন ধ্বংসাবশেষের মুখোমুখি হওয়ার। তাম্রলিপি, স্বর্ণমুদ্রা আর ক্ষয়ে যাওয়া প্রাসাদের সামনে দাঁড়িয়ে বুঝতে পারলাম ইতিহাস কত নির্মম।
কত ঘটনার সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে এখনো। অথচ এই স্থানের বাসিন্দারা মিশে গেছে ধূলোয়। শুধু জেগে আছে তাদের নাম, স্মৃতি হয়ে।
Post a Comment