খেজুর ধুয়ে মুছে স্বাভাবিকভাবে খাওয়া হলে যথাযথ অনেক উপকারই পাওয়া যাচ্ছে আর আমাদের জন্য এতটুকুই কিন্তু যথেষ্ট। তো এই উপকারগুলো আস্তে আস্তে আসুক বা তাড়াতাড়ি আসুক তাতে আমাদের কী আসে যায়?
আর খেজুর খেলে উপকার কিন্তু এমনিতেও দ্রুতই লাভ হয়। আপনি খুব খুব ক্লান্ত হলে কিছু পানি সহকারে শুধুমাত্র চার-পাঁচটা খেজুর খেয়ে দেখুন, আধা ঘন্টার মতো সময়েই আপনি অনেকটা চাঙ্গা হয়ে উঠবেন, বাস্তব কথা।
অতএব এই দ্রুততার জন্য আলাদা কোনো নিয়মনীতির প্রয়োজনই নেই।
তবে হ্যাঁ, ঝাল ও মসলাদার খাবার খাওয়ার পর খেজুর খাওয়া একদমই ঠিক নয়, এতে হিতে বিপরীত হয়ে পেটে সমস্যা হতে পারে, ফলে পুষ্টিও হারাতে হতে পারে। তবে খালি পেটে খাওয়াতে তেমন ক্ষতি নেই।
এছাড়াও ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য খেজুর খাওয়াতে সাধারণত তেমন কোনো সমস্যা হয় না বলে ডাক্তাররা বলে থাকেন, কারণ এটা মিষ্টি হলেও এতে ব্লাড সুগার বৃদ্ধি পায় না। দৈনিক পাঁচটা-ছয়টার মতো খেজুর উনারা নিশ্চিন্তে খেতে পারেন।
আর যদি খেজুরের স্বাদ এর পুষ্টির পাশাপাশি আরো উন্নত লেভেলে নিয়ে যেতে চান তাহলে এটা দুধে ভিজিয়ে রেখে খাবেন, তবে ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে।
জীবনের কঠিন সত্যিগুলি কী কী?
নতুন ব্লগিং সাইটে কতদিন পর ইনকাম শুরু হয়?
দুর্বলতা কাটাতে এবং শক্তি অর্জন করতে কী কী খাবার খেতে হবে? খাবার রুটিন কেমন হতে হবে?
দুর্বলতা কমাতে প্রতিদিনের খাবারে কিছু ভিটামিন ও পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া শুরু করুন। যেসব খাবার বেশি উপকারী তার মধ্যে রয়েছে:
১.ডিম
২.কলা
৩.লেবুর শরবত
৪.বাদাম (প্রায় সব ধরণের বাদাম)
৫. মধু
৬. আদা
৭. চকলেট
৮. চীয়া বীজ। ইত্যাদি
গুরুত্বপূর্ণ উপদেশ :
★ প্রতিদিন ৫-১০ জোরে হাঁটা বা দোড়ানো।
★ যত সম্ভম পুশ আপ দেওয়া।
★ ৮-১০ গ্লাস দৈনিক পানি পান করা।
লিউকেমিয়া রোগ কাদের হয়? এই রোগ হলে কী করা উচিত?
হিমোগ্লোবিন ই ট্রেইট রোগী কি গরুর ভুড়ি, মসুর ডাল, এংকর ডাল, কমলা এই খাবারগুলোর কোনোটা খেতে পারবে?
আলরট্রাসনোগ্রফি করতে গেলে কেন প্রস্রাব এর বেগ লাগে?
মেয়েদের বুকে হাত দিয়ে কীভাবে বুঝবো আগে কেউ কিছু করে নি?
দাতের ফ্লিম করার পর এখন দাত ব্যথাও শিরশির করে এখন কী করনীয় এবং কোন ট্যাবলেট খেলে ভাল হবে?
লিকার চায়ে উপকার বেশি না দুধ চায়ে উপকার বেশি?
লিকার চায়ে উপকার বেশি না দুধ চায়ে উপকার বেশি?
জার্মানির বার্লিন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক এক পরীক্ষায় ১৬ জন নারীকে একবার লিকার চা, আরেকবার দুধ চা পান করতে দেন। তারপর প্রতিবারই আল্ট্রাসাউন্ড পদ্ধতিতে তাঁদের রক্তনালীর প্রসারণ মাপা হয়। এই পরীক্ষায় দেখা যায়, লিকার চা রক্তনালীর প্রসারণ ঘটায়। রক্তনালীর প্রসারণ উচ্চরক্তচাপ ও হৃদরোগ নিয়ন্ত্রনে অত্যন্ত জরুরি। চায়ে থাকা ক্যাটেচিন রক্তনালীর প্রসারণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
অপরদিকে দুধ চা রক্তনালীর প্রসারণ ঘটাতে ব্যর্থ। কারণ, দুধের মধ্যে থাকে ক্যাসেইন নামক একটি পদার্থ যা চায়ের মধ্যে থাকা ক্যাটেচিনকে বাধাগ্রস্ত করে। ফলে চায়ে দুধ মেশালে চায়ের রক্তনালী প্রসারণের ক্ষমতা একবারেই চলে যায়। ইউএস ডিপার্টমেন্ট অফ এগ্রিকালচার-এর গবেষকরা পরীক্ষা করে দেখেন, চায়ের প্রভাবে কোষগুলো থেকে সাধারণের তুলনায় ১৫ গুণ বেশি ইনসুলিন নির্গত হয়। ডায়াবেটিস রোগ নিয়ন্ত্রণে ইনসুলিন নির্গত হওয়া জরুরি। কিন্তু চায়ে দুধ মেশালে এই ইনসুলিন নির্গমনের হার কমতে থাকে। চায়ে যদি ৫০ গ্রাম দুধ মেশানো হয়, তাহলে ইনসুলিন এর নির্গমন শতকরা ৯০% কমে যায়। তাই যাঁরা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান তাঁরা দেখে নিতে পারেন কোন চায়ে কত ক্যালোরি।
দুধ চিনি ছাড়া লিকার চা = ২ ক্যালোরি
১ চামচ চিনিসহ লিকার চা = ১৬ ক্যালোরি
১ চামচ চিনি ও দুধসহ চা = ২৬ ক্যালোরি
সুতরাং, লিকার চা উচ্চরক্তচাপ, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ও ওজন নিয়ন্ত্রণে অত্যন্ত কার্যকরী, দুধ চা নয়।
চুল খুব পাতলা হয়ে গেলে ঘন করার জন্য কী করতে হয়?
(১) প্রতিদিন শ্যাম্পু বা তেল কখনই মাথায় ব্যবহার করা যাবে না। এতে চুলের গোড়া নরম হয়ে ঝরে পড়ে। সপ্তাহে একটি নির্দিষ্ট দিন ভালোভাবে গরম তেল দিয়ে চুল এবং মাথার স্কাল্প ভালোভাবে ম্যাসাজ করে শ্যাম্পু করে ফেলতে হবে। তেল ব্যবহারের ক্ষেত্রে আপনি নারিকেল তেল, আমন্ড অয়েল, অলিভ অয়েল এর মতো প্রাকৃতিক তেল ব্যবহার করতে পারেন। এগুলো চুলের রুক্ষতা দূর করে এবং চুলের গোড়ায় পুষ্টি জোগাবে। এবং চুল পড়া বন্ধ করে চুলের ঘনত্ব বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।
(২) পেঁয়াজের রস, কাস্টার ওয়েল, নারিকেল তেল, অ্যালোভেরাতে চুল ঘন করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সব মিনারেলস এবং ভিটামিন রয়েছে। সপ্তাহান্তে একবার চুলে ব্যবহার করে তা এক ঘন্টার জন্য রেখে দিয়ে চলে ভালোভাবে শ্যাম্পু করলে ধীরে ধীরে চুল ঘন হতে থাকবে।
(৩) চুল পড়ার অন্যতম কারন গুলোর একটি হচ্ছে পরিমিত পুষ্টির অভাব। আপনার চুল যদি পরিমিত পুষ্টিহীনতায় ভোগে তাবে তা সহজেই দুর্বল হয়ে ঝরে পড়বে। তাই খাদ্য তালিকায় বিশেষ নজর রাখতে হবে। বাদাম, ডিম, দুধ, মাছ, দই এর মত খাবারগুলোতে ভিটামিন ই, ম্যাঙ্গানিজ, ভিটামিন বি২, ফসফরাস এবং ম্যাগনেসিয়াম এর মত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রয়েছে। তাই এসব খাবার নিয়মিত খাদ্য তালিকায় রাখার চেষ্টা করতে হবে। এছাড়া পালং শাক, বাধা কপি, পেয়ারা, কমলা, স্ট্রবেরির মতো ফলমূল ও শাকসবজি খেতে হবে।
(৪) চুলে কোনোভাবেই ও প্রয়োজনীয় জেল বা স্প্রে ব্যবহার করা যাবে না। খুশকি ও মাথার শুষ্কতার সমাধানে ভালো মানের শ্যাম্পু, তেল এবং কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে।
(৫) প্রতিরাতে শুতে যাওয়ার আগে চুলের গোড়ায় রক্ত চলাচল বৃদ্ধির জন্য স্ক্যাল্পে আঙ্গুল দিয়ে ড্রাই ম্যাসাজ (তেল দিয়ে মেসাজের ন্যায় ) করতে হবে। এতে করে চুলের গোড়ায় রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পেয়ে চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করবে সাথে সাথে চুল ঘন করতে সহায়তা করবে।
Post a Comment