![]() |
দাতিনা মাছ – datina fish |
অতি সুস্বাদু একটি লোনা পানির মাছ হলো দাতিনা মাছ। এই মাছের বৈজ্ঞানিক নাম "পোমাডাসিস হাস্তা" (Pomadasys Hasta)। দাতিনা মাছের ইংরেজি নাম "গুন্টার ফিস" (Grunter Fish)। বাংলাদেশে সাদা, লাল ও স্পটেড জাতের দাতিনা মাছ পাওয়া যায়। তবে সুন্দরবন সংলগ্ন উপকূলীয় অঞ্চলে সাদা দাতিনা বেশী পাওয়া যায়।
দাতিনা মাছের পুষ্টিগুন:
দাতিনা মাছ মূলত লবণাক্ত পানির মাছ যা দক্ষিণ অঞ্চলের নদীতে পাওয়া যায়। দাতিনা মাছে রয়েছ আয়োডিন, ওমেগা-৩, ভিটামিন ই, ভিটামিন বি, পটাশিয়াম ও জিঙ্কের মতো পুষ্টি উপাদান। এতে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিগুন রয়েছে যা আমাদের শরীলের জন্য খুবি গুরুত্বপূর্ন।
দাতিনা মাছের উপকারিতা:
নিয়মিত দাতিনা মাছ খাওয়ার বেশ কিছু উপকারিতা রয়েছে। যাদের অনিদ্রা, চামড়া শুষ্ক হয়ে যাওয়া বা বার বার ঠাণ্ডা লাগার সমস্যা রয়েছে তারা নিয়মিত দাতিনা মাছ খেতে পাড়েন উপকার পাবেন। নিচে দাতিনা মাছের উপকারিতা তুলে ধরা হলো-
হার্ট অ্যাটক ও স্ট্রোক প্রতিরোধ করতে নিয়মিত দাতিনা মাছ খেতে পারেন। কারণ দাতিনা মাছে থাকা ওমেগা–৩ হার্ট অ্যাটক ও স্ট্রোক প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে।
থাইরয়েড হরমোন এবং হজমের কর্মকাণ্ডের জন্য আয়োডিন গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে। যেহেতু দাতিনা একটি আয়োডিন সমৃদ্ধ মাছ, সেহেতু এই মাছ নিয়মিত খেলে থাইরয়েড হরমোন ঠিক থাকে।
শিশুদের নিয়মিত দাতিনা মাছ খাওয়ালে শিশুর মস্তিষ্ক দ্রুত বিকাশিত হয়। কারণ দাতিনা মাছে রয়েছে ভিটামিন ই, ভিটামিন বি, পটাশিয়াম ও জিঙ্কের মতো উপাদান যা শিশুর মস্তিষ্ক বিকাশে কার্যকারি ভূমিকা পালন করে।
নিয়মিত দাতিনা মাছ খেতে পারলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে।
দাতিনা মাছ নিয়মিত খেলে ত্বকের লাবণ্যতা বৃদ্ধি পায় এবং সহসা বয়সের ছাপ পড়ে না।
এছাড়াও নিয়মিত দাতিনা মাছ খেলে পারকিনসন, দ্রুত দাত পড়ে যাওয়া, স্মৃতি শক্তি লোপ পাওয়ার মত অনেক রোগ থেকে দূরে থাকবেন।
দাতিনা মাছের প্রজনন মৌসুম
দাতিনা মাছের প্রজনন মৌসুম হচ্ছে ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি মাস অর্থাৎ এ মাছটি শীতকালে প্রজনন করে থাকে। দুবছর বয়সে ২০০ গ্রাম থেকে ৪০০ গ্রাম ওজনের হলেই এরা প্রজননক্ষম হয়ে যায় এবং ডিম ধারণক্ষমতা গড়ে ৩৫০০ গ্রাম। পরিপক্ব মাছ পুকুর থেকে সংগ্রহ করে গবেষণা কেন্দ্রের হ্যাচারিতে হরমোন প্রয়োগের মাধ্যমে পোনা উৎপাদন করে থাকে।
Post a Comment